আপনি কিভাবে শয়তান থেকে বাঁচবেন-২
১৩) কুরআন তেলাওয়াত করা। বিশেষ করে সূরা বাক্বারা পাঠ করা।
১৪) ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসী (সূরা বাক্বারার ২৫৫ নং আয়াত) পাঠ করা।
১৫) বেশী ক্রোধান্বিত হলে ওযু করে নিবে। কেননা তা একটি শয়তানী প্রবণতা। শয়তান আগুন থকে সৃষ্টি হয়েছে। আর পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়।
১৬) অধিকহারে ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করা। ‘লাহওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ্’ বেশী বেশী পাঠ করা।
১৭) নিজ গৃহকে শয়তানকে খুশী করে এমন আসবাব থেকে মুক্ত করা। যেমন বাদ্য-যন্ত্র, ঘণ্টা, কুকুর, ছবি, প্রতিকৃতি, ভাস্কর্য এবং যাবতীয় খেল-তামাশা ও গর্হিত বিষয়-বস্তু থেকে বাড়ীকে মুক্ত ও সংরক্ষণ করা।
১৮) পরিবার এবং সন্তানদেরকে শরীয়ত সম্মত দু‘আ-যিকর দ্বারা ঝাড়-ফুঁকের মাধ্যমে হেফাজত করা। এবং এ ঝাড়-ফুঁক নিয়মমাফিক সবসময় করা। যেমন: আয়াতাল কুরসী, (সূরা ইখলাছ, ফালাক্ব ও নাস) প্রভৃতি পাঠ করা।
১৯) দৃষ্টি অবনত রাখা। পরনারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করা থেকে বিরত থাকা। কেননা নারী যখন সামনে আসে তখন শয়তানের আকৃতিতে আসে আর যখন ফিরে যায় তখন শয়তানের আকৃতিতে ফিরে যায়।
২০) পরনারীর সাথে নির্জন না হওয়া। কেননা উক্তাবস্থায় শয়তান তাদের তৃতীয় জন হিসেবে সেখানে বিরাজ করে।
২১) ইচ্ছাকৃত ভাবে শয়তানী কাজের বিরোধিতা করা। যেমন, ডান হাতে খানা-পিনা করা। কেননা শয়তান বাম হাতে খানা-পিনা করে। ক্বায়লুলা করা অর্থাৎ- যোহরের পর সামান্য সময়ের জন্য নিদ্রা যাওয়া। কেননা শয়তান এরকম নিদ্রা যায় না। অপব্যয় অপচয় না করা। কেননা অপব্যায়কারী শয়তানের ভাই। প্রতিটি বিষয়ে ধীরস্থীরতা অবলম্বন করা। কেননা তাড়াহুড়া শয়তানের কাজ এবং ধীরস্থীরতা আল্লাহর পক্ষ থেকে। সাধ্যানুযায়ী হাই উঠানোকে প্রতিরোধ করা। কেননা হাই শয়তানের পক্ষ থেকে আসে।
২২) একাকী কোথাও ভ্রমণে না যাওয়া। কেননা একক ভ্রমণকারী শয়তান। দু‘জন ভ্রমণকারী দু‘জন শয়তান এবং তিনজন হচ্ছে ভ্রমণকারী।
২৩) প্রত্যেক কাজের সময় বিসমিল্লাহ্ বলা। কেননা বিসমিল্লাহ্ বললে শয়তান ক্ষুদ্র হয়ে যায় এমনকি মাছির মত ছোট্ট হয়ে যায়।
২৪) দিনে একশবার পাঠ করা ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লাশারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।’
২৫) প্রথম ওয়াক্তে ফজরের নামাজ আদায় করা। কেননা যে ফজর ছালাত আদায় করবে সে আল্লাহর জিম্মাদারির মধ্যে হয়ে যাবে।
২৬) ছালাত অবস্থায় এদিক-ওদিক না চাওয়া। কেননা ছালাতাবস্থায় এদিক-ওদিক দৃষ্টিপাত করা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে।
২৭) বিনা প্রয়োজনে নারীর নিজ গৃহ থেকে বাইরে না যাওয়া। কেননা যখন সে বের হয় তখন শয়তান তাকে অভ্যর্থনা জানায় এবং উঁকি দিয়ে দেখে।
সমাপ্ত
M.A. ALIM
26 May 2012jajakallaho khairan
মো: রাশিদুল হাসান খাঁন
28 May 2012আসসালামু আলাইকুম। আব্দুল্লাহিল হাদী ভাই শয়তান থেকে বাঁচার জন্য সুন্দর আমলগুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। খোদা হাফেজ।
احمد الله خان
24 Jun 2012جزك الله خيرا فى الدارين
Shahidul Islam
31 Jan 2013আসসালামু আলাইকুম। আব্দুল্লাহিল হাদী ভাই শয়তান থেকে বাঁচার জন্য সুন্দর আমলগুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। খোদা হাফেজ shahid
Anonymous
31 Jan 2013kub sundor