হাদীস জাল করার সূত্রপাত কখন হলো?
ডঃ মুসতাফা হুসনী আস-সুবায়ী
হিজরী চল্লিশ সন হলো সুন্নাতের অনাবিল বিশুদ্ধতা এবং এর মধ্যে মিথ্যার অনুপ্রবেশ ও জাল হাদীস রচনার একটি চিহ্নিত সীমারেখা। এরপর সুন্নতে চললো সংযোজন; সুন্নতকে করা হলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের হাতিয়ার এবং অভ্যন্তরীন বিচ্ছিন্নতাবাদের মাধ্যম। অর্থাৎ হিজরী চল্লিশ সন পর্যন্ত সুন্নত ছিল পবিত্র। তারপর এ দুর্ঘটনাটি ঘটল তখন, যখন হযরত আলী ( রাঃ ) ও হযরত মুয়াবিয়া ( রাঃ ) এর মধ্যকার বিরোধ যুদ্ধের রূপ পরিগ্রহ করলো। রক্ত ক্ষয় হলো প্রচুর, অনেক লোক প্রাণ হারালো, মুসলমানরা হয়ে পড়লো বিভক্ত বিভিন্ন দলে। বেশিরভাগ লোকই ছিলো হযরত আলী ( রাঃ ) এর পক্ষে মুয়াবিয়া ( রাঃ ) এর বিপক্ষে। তারপর উদ্ভব হলো খারিজীদের। তারা প্রথমে ছিল হযরত আলী ( রাঃ ) এর একান্ত সমর্থক। তারপর তারা তাকে বর্জন করলো এবং দোষারোপ করতে থাকলো হযরত আলী ( রাঃ ) ও মুয়াবিয়া ( রাঃ ) উভয়কে। হযরত আলী ( রাঃ ) এর শাহাদাৎ এবং ও মুয়াবিয়া ( রাঃ ) এর খিলাফত গ্রহণের পর আল-ই-বায়ত খিলাফত তাদের প্রাপ্য বলে দাবী করতে থাকলো। তারা উমাইয়্যা বংশের আনুগত্য স্বীকার করলো না। এ রাজনৈতিক কোন্দলের কারণে মুসলমানগণ বহু বড় বড় ও ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে পড়লো। প্রতিটি দলই নিজ নিজ দলের পক্ষে কুর’আন ও হাদীসকে দাঁড় করাতে চেষ্টা করতে লাগলো।
এটা অতীব সত্য কথা যে , প্রতিটি দল যা দাবী করবে , তার অনুকূলে কুর’আন ও সুন্নত থাকবে না। সুতরাং কোন কোন দল কুর’আনের অর্থকে বাদ দিয়ে বিরূপ বা বিকৃত ব্যাখ্যা শুরু করে দিল। আর সুন্নত যে অর্থ বহন করে , তা গ্রহণ না করে অপর অর্থ গ্রহণ করতে লাগলো। তাদের মধ্যে এমনও কোন কোন দল ছিল , যারা তাদের দলীয় সমর্থনে রাসূলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) এর নামে হাদীস বর্ণনা শুরু করলো। তাদের পক্ষে অতি কঠিন ঠেকলো কুর’আনের বেলায় অনুরূপ কিছু করার ; কারণ কুর’আন অতি সুরক্ষিত। মুসলমানদের বক্ষে বক্ষে কুর’আন , মুখে মুখে তিলাওয়াত। এখান থেকেই শুরু হলো জাল হাদীস রচনার আর বিশুদ্ধ হাদীসের সাথে জাল হাদীসের সংমিশ্রণ।
জাল হাদীস রচনাকারীরা প্রথমে যে গুপ্ত পথ রচনা করল , তা হলো বিভিন্ন ব্যক্তির ফযীলত সম্পর্কে । তাদের ইমাম ও দল- উপদলের শীর্ষস্থানীয় লোকদের ফযীলত সম্পর্কে তার বহু জাল হাদীস রচনা করলো । বলা হয়ে থাকে ‘ শিয়ারাই প্রথমে এর সূত্রপাত করলো। ’ ইবনে আবদুল হাদীদ ‘ শরহে নাহজুল বালাগাহ তে অনুরূপ কথা লিখেছেন—“ তোমরা জেনে রেখ , ফযীলত সম্পর্কে যত মিথ্যা হাদীস রচিত হয়েছে , এর মূল হলো শিয়াগণ ।”
ইরাক হলো জাল হাদীস রচনার আড্ডাখানা । হাদীসের ইমামগণও এর প্রতি ইংগিত করেছেন । ইমাম যুহরী ( রঃ ) বলেছেনঃ
“ আমাদের নিকট হতে হাদীস বের হয়ে যেত এক বিঘত তারপর ইরাক হতে ফিরে আসত আমাদের নিকট এক হাত হয়ে ।”
ইমাম মালেক ( রঃ ) বলতেন “ ইরাক হলো জাল হাদীসের টাকশাল । ”
সূত্র: আল ইসলাম বাংলা.ওয়ার্ডপ্রেস.কম।
abdullah shahed
17 Jan 2012খিলাফত তাদের প্রাপ্য বলে দাবী করতে থাকলো। তারা উমাইয়্যা বংশের আনুগত্য স্বীকার করলো না।
يحتاج إلى مزيد من الدراسة والبحث
মো: রাশিদুল হাসান খাঁন
8 Feb 2012হাদিস জাল করা হয় ইরাকে তা জানতে পেরে খুবই খুশি হলাম। যাযাকাল্লাহ খায়ের।
মোঃনাবিরুল ইসলাম
19 Feb 2012আমি শুনে খুব খুশি হলাম যে হাদিস ইরাকে নকল হয়।আল্লাহ পাক তাদের সকল কেই সঠি বুজ দান করুন।19/2/2012
আব্দুল্লাহিল হাদী
25 Feb 2012মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Anonymous
21 Nov 2012Khubi kaster o bydona dayok
Mobasher Hossani
19 Jan 2014এটা কি ইসলামিক সাইট নাকি নারী বিক্রির সাইট? ইসলামের দিকে আহবান নাকি মাগীর দিকে আহবান? ল্যাংটা নারীর খবর এই সাইটে কেন?
আব্দুল্লাহিল হাদী
19 Jan 2014প্রিয় মোবাশশের ভাই, আুমরা আন্তরিক ভাবে দু:খিত আমাদের অনিচ্ছা স্বত্বে কিছু বাজে এড প্রদর্শনের জন্য। এটা মূলত: ওয়ার্ডপ্রেস কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রদত্ব। এটা বন্ধ করার পদ্ধতি শিখিয়ে আমরা একটা পোস্ট দিয়েছে যা সাইটের বাম পাশে এমিনেশনে দেখা যাচ্ছে: এড মুক্ত ব্রাউজিং। আপনি এর সমাধান পাবেন ইনশাআল্লাহ নিচের লিংকটি থেকে: http://salafibd.wordpress.com/2013/12/17/adblock/
জাযাকাল্লাহু খাইরান।