আসুন, বিদআত থেকে নিজে বাঁচি সমাজকে বাঁচানোর চেষ্টা করি।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
প্রিয় ভাই, আর ক’দিন পরই আমাদের সমাজে মহাসমারোহে পালিত হবে শবে বরাত। সে দিন সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হবে। হালুয়া-রুটি খাওয়ার ধুম পড়ে যাবে। অনুষ্ঠিত হবে মিলাদ মাহফিল ও জিকিরের মজলিস। সেই সাথে মুর্হুমূহু আতশবাজিতে কেঁপে কেঁপে উঠবে শবে বরাতের রাতের আকাশ। আরও দেখা যাবে মসজিদের আঙ্গিনাতে যাদের পদ যুগল পড়ত না সে রাতে তারাই আতর-সুগন্ধি মেখে টুপি-পাঞ্জাবী পরে মসজিদের প্রথম কাতারে মুসল্লী সেজে অবস্থান করছে আর বিশেষ কিছু এবাদত-বন্দেগী করে মনে করবে জীবনের সব গুনাহ মাফ হয়ে গেছে। তারপর দিন সকাল থেকে লিপ্ত হবে যাবতীয় অন্যায়-অপকর্ম, দুর্নীতি আর আল্লাহর নাফরমানীতে। হয়ত সে দিনকার ফজরের নামায পড়ারও সময় হবে না। আর অপেক্ষায় থাকবে আগামী বছর শবে বরাতের। এভাবে আরও কত কি? আমাদের সমাজের এ অবস্থায় আমরা জানার চেষ্টা করি একাজগুলো কতটুকু ইসলাম সমর্থিত?
যে সকল ইবাদতের ক্ষেত্রে ইসলাম সমর্থন দেয় নি সেটা ইসলামের নামে করাই তো বিদআত। বিদআতের পরিণাম অতি ভয়ানক। এ ব্যাপারে কুরআনও হাদীসে অসংখ্য সতর্কতা উচ্চারিত হয়েছে। তাই আসুন, আমরা নিজেরা বিদআত থেকে বাঁচি সেই সাথে বাঁচানোর চেষ্টা করি আমাদের সমাজকে। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফীক দান করুন।
আমাদের সমাজে শবে বরাত উপলক্ষে প্রচলিত কতিপয় বিদআতের উদাহরণ:
১) শবে বরাত উপলক্ষে ১৪ শাবান দিনে রোযা রাখা এবং ১৪ তারিখ দিবাগত রাত ১৫ শাবানে একশত নামায আদায় করা:
এ রাতে এক অদ্ভূত পদ্ধতিতে একশত রাকাআত নামায আদায় করা হয়। যাকে বলা হয় সালাতুল আলাফিয়া। একশত রাকাআত নামায পড়ার পদ্ধতিটি হল নিম্নরূপ:
মোট একশত রাকাআত নামায পড়তে হয়। প্রতি দু রাকাত পর সালাম ফিরাতে হবে। প্রতি রাকাআতে সূরা ফাতিহার পর দশ বার সূরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। একশত রাকাআত নামাযে সূরা ইখলাস পাঠ করতে হয় মোট এক হাজার বার। তাই এ নামাযকে সালাতে আলফিয়া বলা হয়।[1]
শবে বরাতে একশত রাকাআত নামায পড়ার বিধান:
ইসলামে এ ধরণের নামায পড়ার নিয়ম সম্পূর্ণ নতুন আবিস্কৃত বিদআত। এ ব্যাপারে সর্ব যুগের সমস্ত আলেমগণ একমত। কারণ, তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং খোলাফায়ে রাশেদীন কখনো তা পড়েন নি। তাছাড়া ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেঈ, আহমদ বিন হাম্বল, সুফিয়ান সাওরী, আওযাঈ, লাইস প্রমূখ যুগ শ্রেষ্ঠ ইমামগণ কেউ এ ধরণের বিশেষ নামায পড়ার কথা বলেন নি। এ সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসটি হাদীস বিশেষজ্ঞদের মতে বানোয়াট এবং জাল। যেমন, ইব্নুল জাওযী উক্ত হাদীসটি মাওযু’আত (জাল হাদীস সংগ্রহ) কিতাবে তিনটি সনদে উল্লেখ করে বলেছেন, এটি যে বানোয়াট তাতে কোন সন্দেহ নেই। তিনটি সনদেই এমন সব বর্ণনাকারী রয়েছে যাদের অধিাকংশরই পরিচয় অজ্ঞাত। আরো কতিপয় বর্ণনাকারী খুব দূর্বল। সুতরাং হাদীসটি নিশ্চিতভাবে জাল।[2]
এ নামায কে কখন কীভাবে চালু করল?
ইমাম ত্বরতূশী (রাহ:) বলেন: শাবান মাসের পনের তারিখ রাতে একশত রাকআত নামায পড়ার পদ্ধতি সর্ব প্রথম যে ব্যক্তি চালু করে তার নাম হল ইব্ন আবুল হামরা। তিনি ছিলেন ফিলিস্তিনের নাবলুস শহরের অধিবাসী। তিনি ৪৪৮ হিজরী সনে বাইতুল মাকদিসে আসেন। তার তেলাওয়াত ছিল খুব সুন্দর। তিনি শাবান মাসের পনের তারিখ রাতে মসজিদুল আকসায় এসে নামায শুরু করে। আর এক লোক তার পেছনে এক্তেদা করে। অতঃপর আর একজন আসে। কিছুক্ষণপর আরে আরও একজন। এভাবে নামায শেষে দেখা গেল বিরাট জামাআতে পরিণত হয়েছে।
পরিবর্তী বছর শবে বরাতে সে ব্যক্তির সাথে প্রচুর পরিমাণ মানুষ নামাযে শরীক হয়। এভাবে এ নামাযটি মসজিদে আক্বসা সহ বিভিন্ন মসজিদে পড়া আরম্ভ হয়ে গেল। কিছু মানুষ নিজেদের বাড়িতে এ নামায পড়া শুরু করে দিল। পরিশেষে এমন অবস্থা দাঁড়ালো যেন এটি একটি সুন্নাত।[3]
অনুরূপভাবে শুধু চৌদ্দ তারিখ দিনে রোযা রাখাও বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত নয়। বরং আল্লাহর নবীর সুন্নত হল, শাবান মাসের প্রথম থেকেই বেশি বেশি নফল রোযা রাখা। বিশেষভাবে ঐ দিন রোযা রাখার কোন ভিত্তি নাই।
২) হালুয়া-রুটি খাওয়া: শবে বরাত উপলক্ষ্যে ঘরে ঘরে হালওয়া-রুটি খাওয়ার হিড়িক পড়ে যায়। শুধু তাই নয় বরং সে দিন গরীব মানুষও টাকা হাওলত করে হলেও এক বেলা গোস্ত কিনে খায়। কারণ, সে দিন যদি ভাল খাবার খাওয়া যায় তাহলে নাকি সারা বছর ভাল খাবার খাওয়া যাবে। আর হালওয়া-রুটি খাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওহুদ যুদ্ধে দাঁত ভাঙ্গার পর শক্ত খাবার খেতে পারেন নি। তাই তাঁর প্রতি সমবেদনা জানানোর উদ্দেশ্যে এ দিন ঘটা করে হালওয়া রুটি খাওয়া হয়।
কিন্তু বাস্তবতা কি তাই? প্রথমত: আমরা জানি ওহুদের এক রক্তক্ষয়ী ও অসম যুদ্ধে কাফেরদের আঘাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাঁত ভেঙ্গে দিয়ে ছিল। কিন্তু তা শাবান মাসে তো ওহুদ যুদ্ধ হয় নি। বরং তা হয়েছিল ৩য় হিজরী শাওয়াল মাসের সাত তারিখে। তাহলে এ সমবেদনা শাবান মাসের পনের তারিখে কি কিভাবে করা হয়?
২য়ত: হল, তিনি নরম খাবার কি শুধু একদিন খেয়ে ছিলেন? তাহলে এ কেমন ভালবাসা? আপনি শাবান মাসের পনের তারিখে কিছু হালওয়া-রুটি খেলেন আবার কিছুক্ষণ পর গরুর গোস্ত তো ঠিকই চাবিয়ে চাবিয়ে ভক্ষণ করতে থাকেন??
৩য়ত: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো কাফেরদের সাথে এক কঠিন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বীরে মত যুদ্ধ করে তার পবিত্র দাঁত হারিয়েছেন কিন’ আমাদের এসব নবী ভক্তের অধিকাংশের অবস্থা হল, আল্লাহর নবীর রেখে যাওয়া সাধারণ সুন্নতগুলোও পালন করে না। অনেকে তো ফরজ নামাযই ঠিকমত আদায় করে না। এটাই হল এদের তথাকথিত ভালবাসার নুমনা।
৩) ছবি ও মূর্তি তৈরি: শবে বরাত উপলক্ষ্যে দেখা যায় নানা রং বেরঙ্গের ছবি ও মূর্তি তৈরি কৃত মিষ্টান্নতে বাজার ছেয়ে যায়। অথচ ছবি ও মূর্তি-প্রকৃতি ইত্যাদি তৈরি করা ইসলামে হারাম। আবার আল্লাহর দেয়া রিযিক নিয়ে এভাবে খেল-তামাশা?!
৪) মীলাদ ও যিকির: শবে বরাত উপলক্ষ্যে মসজিদ, খানকাহ ও দরগায় সমূহে শুরু হয় মীলাদ মাহফিল। চলে মিষ্টি খওয়ার ধুম। চলতে থাকে বিদআতী পন্থায় গরম যিকিরের মজলিশ। এ সব কাজ দ্বীনের মধ্যে বিদআত ছাড়া কিছু নয়।
৫) কবর যিয়ারত: এক শ্রেণীর মানুষ এ রাতে গোরস্থান বা মাযার জিয়ারতে বের হয়। এমনকি কোথাও কোথাও এ প্রথাও দেখা যায় যে, একদল মানুষ এ রাতে ধারাবাহিকভাবে এলাকার সকল কবর যিয়ারত করে থাকে। এদের দলীল হল, শাবান মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাকী গোরস্থা যিয়ারতের হাদীস অথচ মুহাদ্দসিগণ উক্ত হাদীসটি জাল হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। যেমনটি পূর্বে আলোচনা করেছি।
৬) আলোক সজ্জা করা এবং আতশবাজী করা : শবে বরাত উপলক্ষ্যে রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়ি, মসজিদ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি আলোকসজ্জা করা হয়। সে রাতে আশ্চর্য জনকভাবে চলতে থাকে আতশবাজী বা পটকা ফুটানো। মূলত: এসব কাজের মাধ্যমে একদিকে লক্ষ লক্ষ টাকা শুধু অপচয় করা হয় না বরং এগুলো অগ্নি পুজকদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
৭) মৃতদের আত্মার দুনিয়াতের পূণরাগমনের বিশ্বাস: এ উপলক্ষ্যে দেখা যায় মহিলাগণ ঘর-বাড়ি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে আতর সুগন্ধি লাগিয়ে পরিপাটি করে রাখে। বিশেষ করে বিধবা মহিলাগণ এমনটি করেন। এমনকি তারা কিছু খাবার একটুকরো কাপড়ে পুরে ঘরে ঝুলিয়ে রাখে। কারণ, তাদের বিশ্বাস হল, তাদের মৃত স্বামী-স্বজনদের আত্মা এ রাতে ছাড়া পেয়ে নিজ নিজ পরিবারের সাথে দেখা করতে আসে। এটা যে কতবড় মূর্খতা তা একমাত্র আল্লাহ জানেন।
মানুষ মারা গেলে তাদের আত্মা বছরের কোন একটি সময় আবার দুনিয়াতে ফিরে আসা মুসলমানদের আকীদাহ নয়। বরং অনেকটা তা হিন্দুয়ানী আকীদার সাথে সাঞ্জস্যপূর্ণ।
শাবান মাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে এই প্রবন্ধটিতে।
আহবান:
অনুগ্রহ পূর্বক এ লেখাগুলো সর্বত্র ছড়িয়ে দিন, বিভিন্ন ব্লগে পোস্ট করুন এবং ফেস বুক সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে লিংক দিন। আপনার দ্বারা একটি মানুষ বিদআত পরিত্যাগ করলে তা আপনার জন্য মুক্তির কারণ হয়ে যেতে পারে। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
আব্দুল আলীম
16 Jul 2011জাযাকাল্লাহু খাইরান, অত্যন্ত চমৎকার। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দ্বীন ইসলামকে বুঝার ও তা মেনে চলার এবং দ্বীনের মধ্যে নতুন নতুন আবিস্কৃত বিদয়াতকে জানার এবং তা থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দিন।
আব্দুল্লাহিল হাদী
16 Jul 2011আব্দুল আলীম ভাইকে অনেক অনকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
হে আল্লাহ তুমি দুআ কবুল কর।
Mohammad Sirajul Islam
16 Jul 2011Hadi bai,Assalamu alaikum,Many many thanks for this information.i do not know who was start the SHAB E BRAT.
আব্দুল্লাহিল হাদী
17 Jul 2011সম্মানিত সিরাজুল ইসলাম ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কতগুলো বানোয়াট এবং দূর্বল হাদীসের উপর ভিত্তি করে এবং মুসলিম সমাজের মূর্খতার সুযোগে কালপরিক্রমায় এ বিদআতগুলো অন্যান্য বিদআতের মতই আমাদের সামাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
আসুন, আমরা কুরআন ও হাদীসের সাথে আমাদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করি এবং সব ধরণের শিরক, বিদআত, কুসংস্কার ও গোঁড়ামি বর্জন করি। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমীন।
hadi
22 Jul 2011amra jara saudi asi tara sobeborat manina ba palon korina kintu Channel I kiso maolana tara koran&hadies ar proman sho tara bolse sobeborat ache? akhon amra kader kotha sunbo&konta sotik?
আব্দুল্লাহিল হাদী
23 Jul 2011প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
প্রিয় ভাই, শবে বরাত রাতে বিশেষ মর্যাদা কোন কোন হাদীসের আলোকে প্রমাণিত হলেও এ উপলক্ষ্যে বিশেষ কোন ইবাদত সহীহ হাদীসের আলোকে প্রমাণিত নয়। যেমন শুক্রবারের ফযীলতে অনেক সহীহ হাদীস বর্ণিত হয়েছে তাই বলে কি এ দিন কে কেন্দ্র করে বিশেষ কিছু এবাদত-বন্দেগী করা যাবে? উত্তর হল না। কারণ, ফযীলত থাকা এক জিনিস আর তাকে উপলক্ষ্য করে বিশেষ কিছু এবাদত করা আরেক জিনিস। সহীহ হাদীস ছাড়া কোন এবাদত করতে যাওয়া বিদআত হিসেবে গণ্য হবে।
এ রাতে নামায পড়া, হালুয়া রুটি খাওয়া……ইত্যাদি কোন ইবাদতের সহীহ হাদীস নাই। হ্যাঁ, তবে কিছু বানোয়াট ও কিছু দূর্বল হাদীস বিভিন্ন কিতাবে পাওয়া যায় সেগুলোর উপর নির্ভর করাও ঠিক হবে না। সুতরং যদি এ সব বানোয়াট ও দূর্বল হাদীসের বরাত দিয়ে এ রাতকে কেন্দ্র করে যদি ইবাদত প্রমাণ দেয়ার চেষ্টা করা হয় তবে কী বলার আছে?
abdul gaffar
19 Sep 2011ki ki karone oju nosto hoy
আব্দুল্লাহিল হাদী
19 Sep 2011প্রিয় ভাই, প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক জ্ঞান অর্জন করে তদানুযায়ী জীবন পরিচালনা করার তাওফীক দান করুন। আমীন। আপনার প্রশ্নের উত্তর হল:
চারটি কারণে ওযু বিনষ্ট হয়। সেগুলো হল:
১) যে কোন অবস্থায় পেশাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোন কিছু বের হয়ে যাওয়া। যেমন: পেশাব, মযী, ওয়াদী ইত্যাদি। মযী বলা হয়- পাতলা আঠালো জাতীয় পানিকে যা স্ত্রী শৃঙ্গারে, বা সঙ্গমের কথা স্মরণ করলে বা ইচ্ছা করলে লিঙ্গ থেকে নির্গত হয়। হযরত আলী (রা:) বলেন, আমার খুব বেশী মযী নির্গত হত। তখন আমি মিক্বদাদ (রা:)কে অনুরোধ করলাম এ সম্পর্কিত বিধান নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)কে জিজ্ঞেস করতে। তিনি বললেন: “এতে ওযু করা আবশ্যক।” (বুখারী ও মুসলিম) আবু দাঊদের বর্ণনায় বলা হয়েছে: “সে যেন স্বীয় লিঙ্গ এবং অন্ডেকোষ ধৌত করে নেয়।”
ওয়াদী বলা হয়, পেশাবের পর নির্গত গাঢ় সাদা পানিকে। এটা নাপাক। আয়েশা (রা:) বলেন, “ওয়াদী হচ্ছে যা পেশাবের পর নির্গত হয়। এজন্য লিঙ্গ এবং অন্ডকোষ ধৌত করবে এবং ওযু করবে। গোসল করবে না।” (ইবনুল মুনযির)
২) নিদ্রা অথবা অন্য কোন কারণে অজ্ঞান হলে। (আহমাদ, নাসাঈ, তিরমিযী তিনি হাদীসটিকে সহীহ্ বলেছেন।) বসা অবস্থায় নিদ্রা ওযু ভঙ্গ করে না। (মুসলিম)
৩) কোন পর্দা ব্যতীত গুপ্তাঙ্গ সপর্শ করা। শিশুর গুপ্তাঙ্গ সপর্শ করলেও ওযু নষ্ট হয়। (আহমাদ, নাসাঈ, তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ্।)
৪) উটের মাংশ ভক্ষন করা। (মুসলিম)
প্রকাশ থাকে যে, মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেয়া, বমি করা, শরীরের কোন স্থান থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়া, স্ত্রীকে চুম্বন করা ইত্যাদী কারণে ওযু বিনষ্ট হয় না। কেননা এ সকল ক্ষেত্রে ওযু বিনষ্ট হওয়ার পক্ষে বিশুদ্ধ কোন হাদীস নেই।
sirajul islam
5 Jul 2012uter mangsh khele keno oju vongo hobe ?
abdul gaffar
21 Sep 2011assala mualaikom amar prosno holo amar waif pagnet akon namaj
porte onek problem orte boste. akon se ki cehare bose namaj porte
parbe kina
আব্দুল্লাহিল হাদী
25 Sep 2011ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।,
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার প্রশ্নের উত্তর হল: এমতবস্থায় আপনার স্ত্রীর চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করাতে কোন অসুবিধা নাই। কারণ, সাধ্যের বাইরে আল্লাহ তায়ালা কাউকে দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না। তিনি বলেন: لَا يُكَلِّفُ اللَّـهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا ۚ “আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না।” (সূরা বাকারা: ২৮৬) তাই যেভাবে সাধ্য সেভাবেই নামায আদায় করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন: فَاتَّقُوا اللَّـهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ “অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর।” (সূরা তাগাবুন: ১৬)
Faruque
9 Jun 2014বিদআত কাকে বলে ? চৌদ্দ তারিখ দিনে রোযা রাখালে কি বিদআত হবে ?
Takibul islam,Rangpur
22 May 2015শায়েখ „মাশাআল্লাহ ,জাযাকাল্লাহ খাইর,আল্লাহ আপনাকে আরো কুরআন ও সহীহ সুন্নার বুজ দান করুন ,আমীন,
Anonymous
22 May 2016ধন্যবাদ…