শাবান মাস:
সুন্নত উপেক্ষিত বিদআত সমাদৃত।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
প্রাণ প্রিয় ভাই, রামাযানুল মোবারকের প্রস্তুতির মাস শাবান আমাদের মাঝে উপস্থিত। এ মাসে আমাদের জন্য রয়েছে কিছু করণীয়। রয়েছে কিছু বর্জনীয়। এ বিষয়টি নিয়েই আজকের এই পোস্টের অবতারণা। এতে মোট ৭টি বিষয় আলোচিত হয়েছে। যথা:
১) শাবান মাসে নফল রোযা রাখা সম্পর্কে বর্ণিত সহীহ হাদীস সমূহ।
২) শাবান মাসের পনের তারিখের ব্যাপারে একটি হাদীস পর্যালোচনা ও তার শিক্ষা।
৩) শাবান মাস সম্পর্কে কতিপয় প্রচলিত জাল ও যঈফ হাদীস|
৪) কুরআন কোন রাতে অবর্তীণ হয়? শাবান মাসের শবে বরাতে নাকি রামাযান মাসের শবে কদরে?
৫) শবে বরাত উদ্যাপন করা বিদআত।
৬) শাবান মাসে প্রচলিত কতিপয় বিদআত।
৭) সারাংশ।
১) শাবান মাসে নফল রোযা রাখা সম্পর্কে বণির্ত সহীহ হাদীস সমূহ:
শাবান মাসে নফল রোযা রাখা সম্পর্কে অনেক সহীহ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। নিন্মে এ সম্পর্কীত কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করা হল:
ক) আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন (নফল) রোযা রাখতে শুরু করতেন তখন আমরা বলতাম যে তিনি রোযা রাখা আর বাদ দিবেন না। আবার যখন রোযা বাদ দিতেন তখন আমরা বলতাম তিনি আর রোযা করবেন না। তবে তাঁকে রামাযান ছাড়া পরিপূর্ণভাবে অন্য কোন মাসে রোযা রাখতে দেখিনি এবং শাবান মাসের চেয়ে অন্য কোন মাসে এত বেশি রোযা রাখতে দেখিনি।”[1]
খ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসের চেয়ে অধিক রোযা আর কোন মাসে রাখতেন না। তিনি (প্রায়) পুরো শাবান মাস রোযা রাখতেন। তিনি বলতেন: “তোমরা এমন আমল গ্রহণ কর যা তোমাদের সাধ্যের মধ্যে থাকে। কারণ, আল্লাহ তাআলা বিরক্ত হন না যতক্ষণ না তোমরা বিরক্ত হও। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এমন নামাযই পছন্দনীয় যা নিয়মিতভাবে আদায় করা হয় যদিও তা সল্প হয়। তাঁর নিয়ম ছিল, যখন তিনি কোন নামায পড়তেন নিয়মিতভাবে তা পড়তেন।[2]
গ) উসামা বিন যায়দ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল, আপনাকে শাবান মাসে যে পরিমান রোযা পালন করতে দেখি অন্য মাসে তা দেখি না। এর কারণ কী? তিনি বললেন: “রজব এবং রামাযানে মধ্যবর্তী এ মাসটি সম্পর্কে মানুষ উদাসিন থাকে। অথচ এটি এত গুরুত্বপূর্ণ মাস যে, এ মাসে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে মানুষের আমল সমূহ উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি চাই রোযা অবস্থায় আমার আমল উঠানো হোক।”[3]
ঘ) আবু হুরায়রা (রা:) হতে বণির্ত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “শাবান মাস অধের্ক হয় গেলে তোমরা রোযা রাখিও না।” [4] এ হাদীসের অর্থ হল: যে ব্যক্তি শাবান মাসের প্রথম থেকে রোযা রাখে নি সে যেন অর্ধ শাবানের পর আর রোযা শুরু না করে করে। তবে যে ব্যক্তি শাবান মাসের শুরু থেকে রোযা রেখেছে, বা যার উপর গত বছরের রোযা কাজা আছে অথবা যার প্রতি সোম ও বৃহ:বার রোযা রাখা অভ্যাস সেও পনের তারিখের পর রাখতে পারে।
ঙ) কারো যদি রামাযানের রোযা ছুটে যায় তবে সে তা শাবান মাসে কাযা করে নিতে পারে। যেমন, আবু সালামা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রা.) কে বলতে শুনেছি, আমার রামাযানের কিছু রোযা বাকি থাকত। সেগুলো আমি শাবান ছাড়া কাযা করতে পারতাম না।[5]অর্থাৎ আয়েশা (রা:) গত রমাযানের ছুটে যাওয়া ফরজ রোযাগুলো শাবান মাসে কাযা করতেন।(পরবর্তী পৃষ্ঠায় যাওয়ার জন্য নিচের পৃষ্ঠা নাম্বারে ক্লিক করুন)
আব্দুল আলীম বিন কিয়ামুদ্দীন
5 Jul 2011জাযাকাল্লাহু খয়রান এ সুন্দর পোষ্টের জন্য। আল্লাহ রব্বুল আলামীন যেন আমাদেরকে শাবান মাসের নফল রোযা রাখার তৌফিক দান করেন এবং সকল প্রকার পথভ্রষ্টকারী বিদ্আতী আমল, কথা, কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখেন।
আব্দুল্লাহিল হাদী
5 Jul 2011আপনার মতামতের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। বারাকাল্লাহু ফীক।
আল্লাহ তায়ালা আপনার দুয়া যেন কবুল করেন। আমীন।
Muhammad Noor Alam
9 Jul 2011Thanks brother Abdullahil hadi ,,,,for those real comments ,,,we should know what going on in our country with take this Bidati Sobe-borat ,,,,,May Allah give us Hedayat,,,,,
আব্দুল্লাহিল হাদী
9 Jul 2011নূরুল আলম ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য আনপাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সকল বিদআত ও কুসংষ্কার থেকে হফাযত করুন।
আর মৃত ব্যক্তিদের জন্য কী করণীয় এ ব্যাপারে আপনার আগের করা প্রশ্নটির উত্তর খুব তাড়াতাড়ি পোস্ট আকারে আসছে ইনশাআল্লাহ।
বারাকাল্লাহু কীক।
ksarefin04
11 Jul 2011আব্দুল্লাহিল হাদী ভাই
আসলামু ওয়ালাইকুম, অনেক ধন্যবাদ শাবান মাসের এই লেখাটার জন্য। আমি আপনার অনুমতি পেলে আপনার লেখা কপি করে প্রচার করতে চায়। আল্লাহ আমাদেরকে সকল প্রকার বিদাত থেকে দুরে থেকে সঠিক ভাবে ইসলাম বোঝা এবং মানার তৌফিক দান করুন, আপনাকে আল্লাহ তায়লা উত্তম যাযা দান করুন। আমিন।
আব্দুল্লাহিল হাদী
11 Jul 2011আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
জি, লেখাটি প্রচার করতে পারেন। আমার পক্ষ থেকে কোন বাধা নাই। তবে কয়েক জায়গায় বানান ভুল আছে। ছাপিয়ে বিতরণ করতে চাইলে অনুগ্রহ পূর্বক সেগুলো ঠিক করতে পারলে খুব ভাল হয়।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।
শোভন
14 Jul 2011হাদীসটি সহীহ ও যঈফ হওয়ার ব্যাপারে একটি পর্যালোচনা টিকাতে আছে কিন্তু টিকা আমি দেখতে পারছি না।শো করে না ব্রাউজার এ।
শোভন
14 Jul 2011হাদি ভাই একটু পরামর্শ দিন।
আব্দুল্লাহিল হাদী
14 Jul 2011http://salafibd.wordpress.com/2011/07/04/22/9/
৬ নং টিকা পড়ুন। ধন্যবাদ।
আব্দুল্লাহিল হাদী
14 Jul 2011সুপ্রিয় শোভন ভাই,
অনুগ্রহ পূর্বক ৯নং পৃষ্ঠায় ক্লিক করে ৬নং টিকাটি দেখুন। অথবা সরাসরি এই লিংকে ক্লিক করে ৬ নং টিকাটি পড়ুন।
http://salafibd.wordpress.com/2011/07/04/22/9/
ধন্যবাদ।
Muhammad Noor Alam
16 Jul 2011Hadi brother , there is one new post about ” Sobeborat bidater kotipoy udahoron” uper line post date june 14 is it june 14 or july-14
আব্দুল্লাহিল হাদী
16 Jul 2011জাযাকাল্লাহু খাইরান।
সঠিক তারিখটা হল: 14/7/2011
বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
ঠিক করে দিলাম।
Anonymous
28 Jun 2012জাযাকাল্লাহু খাইরান।
Amin
28 Jun 2012Assalamu Alaikum,
Jazak Allah for the nice article. How can I get the full version of it in pdf to download and distribute?
Anonymous
4 Jul 2012আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম জাযা দান করুন। সুন্দর সাইটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আব্দুল কুদ্দুআল্লাহ,আল ওয়াতানিয়া,আল কাসীম, সৌদী আরব।
Hmeyakub Bin Abdus Salam
18 Jun 2013شكرا استا ذنا
الله يعطيك الجنة الاعلي الفردوس
আব্দুল্লাহিল হাদী
19 Jun 2013جزاك الله خيرا وبارك فى علمك و عملك وجمعنا و إياكم فى الجنة
Nazmul hasan
30 May 2014আপনাদের ধন্যবাদ
minty aktar
9 May 2016acca a mashe ki kono nafhol namaz aca.
আবদুল্লাহিল হাদী বিন আবদুল জলীল
10 May 2016না, এ মাসে আলাদাভাবে কোন নফল সালাত নেই। তবে সাধারণভাবে বিভিন্ন নফল সালাত যে কোন সময় পড়া যায়। আল্লাহ সবচেয়ে ভাল জানেন।
Anonymous
22 May 2016where is the reference of hadith?
আবদুল্লাহিল হাদী বিন আবদুল জলীল
22 May 2016প্রতিটি হাদীসের শেষে নাম্বার দেয়া হয়েছে। সেই নাম্বার অনুযায়ী পোস্টের একদম শেষে রেফারেন্স পাবেন। ধন্যবাদ।
Shafiul Islam
28 Apr 2017Good